Shree Shree Durga Puja 2019

শরতের শুরুতে ‘দুষ্টের বিনাশ ও শান্তির জয়’ বার্তা নিয়ে দুর্গা মা পৃথিবীতে আগমন করেন। এটি সনাতন হিন্দুধর্মাবলম্বী বাঙালিদের প্রধান উৎসব হলেও এর সর্বজনীনতা বিরাজ করে পুরো ভারতসহ নেপাল ও বাংলাদেশের সমাজেও। জার্মানির বিভিন্ন শহরে অনেক আগে থেকেই দুর্গাপূজা হতো। কিন্তু ড্রেসডেন শহরে এই প্রথমবারের মতো আয়োজিত হলো শারদীয় দুর্গাপূজা। এই মহান উদ্যোগে ছিলেন ড্রেসডেনের কিছু প্রবাসী বাঙালি। যাঁদের মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশেরই মানুষ ছিলেন। বিদেশ-বিভুঁইয়ে সব নিয়মনীতি মেনে পূজা করাটা হয়তো সম্ভব। কিন্তু সীমাবদ্ধতার কথা বিবেচনা করে ও সময়ের অভাবে প্রতিমা না এনে মা দুর্গার চালচিত্র দিয়ে দুই দিনব্যাপী পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। শারদীয় দুর্গা ২০১৯-এর শুরু হয়েছিল দেবীর মূর্তি স্থাপন ও আরাধনা দিয়ে। দিনপঞ্জিকার নিয়মমতো ভক্তদের অংশগ্রহণে পূজা, আরতি, সিঁদুর খেলা ও প্রসাদ বিতরণ হয়েছে। একটি আপদমুক্ত শান্তি ও সুখের পৃথিবীর জন্য মায়ের মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা ও অঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়। ড্রেসডেনে পূজায় পৌরোহিত্য করেছিলেন কেমনিটজ শহরনিবাসী সৌম্যদীপ চৌধুরী। প্রতিদিন সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। শিল্পীরা ভক্তিমূলক বাংলা গান, নাচ, কবিতা ও যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে ড্রেসডেনে বসবাসরত বাঙালিরাসহ নিকটতম নগরীর বহু ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতির মানুষের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক উপস্থিতি যোগ করেছিল এক প্রাণবন্ত মিলনমেলা। ড্রেসডেনবাসী দুর্গা মায়ের ভক্তরা ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ড্রেসডেন (আইএডি), প্লোবাল স্পাইসি ড্রেসডেন ও Johannstädter Kulturtreffe. V.-এর কাছে সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতার জন্য বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। আর যাঁদের প্রত্যক্ষ সাহায্য ও অক্লান্ত পরিশ্রম ছাড়া এই পূজা সম্ভব হতো না, তাঁরা হলেন অমিত, পাপিয়া, দীপিকা, অনিন্দ্য, তমাল, নিক্সন, অভিষেক, সকৃত, শুভ্র, শাওন, সুজিত, চৈতি, প্রণয়, সুস্মিতা, শিবশঙ্কর, দেবারতি, দেবদত্তা, রাধিকা, জুয়েল, সাদিয়া, আনজুম, জ্যোতির্ময়, পাফিন, নিতুই ও অধ্যাপক সুশান্ত ব্যানার্জি। পূজা উদ্‌যাপন পর্ষদ এখন থেকে প্রতিবছর আরও বেশি উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।